কুমিল্লা ইপিজেড গেইট নিউ ভিশনে এক নবজাতক সন্তান এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন। শিশুটির মা কুমিল্লা নাভানা হসপিটালে ভর্তি। দুই হাসপাতালে দৌড়ে ক্লান্ত পিতা এখন আর্থিক সংকটে ভুগছেন।
দেশে অনেক মানুষের কালো টাকা ফ্রিজিং অবস্থায় আছে। কিছু কালো টাকা দিয়ে আমার ছেলের চিকিৎসা করানোর মাধ্যমে তার জীবনে আলো জ্বালানো যাবে কি?
ছেলের সুচিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ টাকা দরকার, তা তার পিতার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। রোড এক্সিডেন্টে হাত-পা ভাঙা একজন অসহায় মানুষ তিনি।
ইকো টেস্ট জরুরি! কুমিল্লা মুন হসপিটালে এই টেস্ট হয়, কিন্তু যিনি টেস্ট করেন তিনি হজ্বে গিয়েছেন। ঢাকায় শিশু হসপিটালে নেওয়ার জন্য বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সের রেন্ট ২০ হাজার টাকা। শিশু হসপিটালে রোগী এডমিট না করে অন্য যেকোনো হসপিটালে নেওয়ার জন্য প্রতি হসপিটালের ভাড়া ৩ হাজার টাকা। একই গলিতে হলেও অ্যাম্বুলেন্স কতৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী ২০ হাজারের সাথে ৩ হাজার করে এড হবে। কল রেকর্ড আছে আমার কাছে!
ছেলের মা আমাকে প্রশ্ন করেছে, এত টাকা আমরা কোথায় পাবো? আমি বলেছি, ছেলে সুচিকিৎসার জন্য একজন পিতা হিসেবে আমি খুন করতেও প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সরকার প্রধান, আমার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য আমাকে খুন বা যেকোনো অপরাধ করার জন্য একটি লিখিত অনুমোদন দিন! প্লিজ! প্লিজ!
আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই! জন্মের পর থেকেই কোনো অপরাধ, কোনো পাপ, কোনো ভুল না করেও সে যে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তাকে কাছে গিয়ে দেখলে আমি বুঝতে পারি সে কী কষ্ট করছে!
ওকে একটু বাঁচানোর চেষ্টা কি তার পিতার করা উচিত নয়?
প্লিজ পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আমার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য একটু অবদান রাখুন।
যে কাজ আমার জন্য অনেক কঠিন, সেই কাজটাই যেকোনো দেশের সরকার প্রধানের জন্য ৩০ সেকেন্ডের একটি আদেশ মাত্র!
আমি বর্তমান সরকার প্রধান এবং দেশের ত্যাগী সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। কারণ একজন ত্যাগী উদার মনের সাংবাদিক চাইলে যে কারো অনেক বড় উপকার করা সম্ভব!