বুড়িচং প্রতিনিধি।।
কমিল্লার বুড়িচংয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২ লাখ টাকার চুক্তিতে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন নিহতের ঝা নুরজাহান বেগম। জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে তিনি হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় চুক্তি করে তাকে হত্যার দায়িত্ব দেন।
হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় আরও দুইজন—রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ২৭ জুন শুক্রবার সকালে ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখা হয় একটি সেফটি ট্যাংকে।
নিখোঁজের পর ফেরদৌসীর স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। অবশেষে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরের একটি বাগানে সেফটি ট্যাংকের ভেতরে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ প্রথমে নুরজাহান বেগমকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল ও গলার চেইন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—নিহতের ঝা নুরজাহান বেগম (৫০), আনোয়ার হোসেন (৩০), রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)।
বুধবার দুপুরে তাদের কুমিল্লা আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মোবাইলঃ ০১৬১৩১৮১৬১৪