কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরন (৩০)কে গ্রেফতার করেছে দেবীদ্বার থানা পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওয়াহেদপুর গ্রাম থেকে হিরনকে গ্রেফতার করেন এবং সকাল ১১টায় তাকে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে চালান করেছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরন উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ঘোষঘর গ্রামের মৃত: আব্দুল মজিদ’র পুত্র। সে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস সহকারী এবং দেবীদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর জখম হন। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির মারা যায়। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম সাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃতঃ আলমগীর হোসেনের পুত্র। ওই ঘটনায় দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃতঃ রবিস আলীর পুত্র ও নিহত সাব্বিরের মামা মো. নাজমুল হক বাদী হয়ে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার আদালতে ৯৯ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনসহ ২৪৯ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১, জিআর-১৬০, তারিখ- ১৪/০৯/২০২৪ইং। সে ওই হত্যা মামলার ৫৬ নং এজহারভুক্ত আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরনের স্বজন জানান, হিরন যথারীতি উপজেলা পরিষদে যাতায়াত, দাপ্তরিক কাজে সহায়তা এমনকি তার নামে ঠিকাধারী লাইসেন্স ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজগুলো করে আসছে। সে হত্যা মামলার আসামী ছিল এবিষয়টি তাকে গ্রেফতারের পরেই সে জানতে পেরেছেন।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ দৈনিক কুমিল্লার ডাক কে জানান, তাকে গোপন সংবাদ পেয়ে আজ সকাল ১০টায় গ্রেফতার করা হয়েছে। হিরন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পিএস ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হিরন সশস্ত্র ভূমিকায় আন্দোলনরতদের দমন-পিড়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে।