ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় শিক্ষা খাতে ৪৫ লাখ টাকার সরকারি অনুদান বেহাত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। **পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউট** প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৭টি মাধ্যমিক ও ২টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রতি প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই অনুদানের অর্থ সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষকদের প্রণোদনা, বইপত্র ও শিক্ষা উপকরণ, ছাত্রীদের ফ্যাসিলিটি উন্নয়ন, সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয়ের নির্দেশনা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো কার্যকর ব্যবহার হয়নি।
সরেজমিনে তদন্তে দেখা গেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের প্রণোদনার টাকা কিছুটা বিতরণ করলেও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থও যথাযথভাবে খরচ করা হয়নি। বইপত্র ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি থাকলেও বই অপ্রতুল, আশ্রাফবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুদানের কোনো চিহ্ন নেই, আকানগর এসইএসডিপি মডেল হাইস্কুলে লাইব্রেরি ও গবেষণাগার সুবিধা নেই, শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পূর্ব থেকেই স্থাপিত লাইব্রেরি থাকলেও নতুন কিছু সংযোজন হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী বরাদ্দের অর্থ নির্দিষ্ট খাতেই ব্যয়ের নির্দেশ থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাঞ্ছারামপুরের সচেতন মহল দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।