স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃ উদ্ধারের বীর সেনানী কর্নেল শাহরিয়ার রশিদ খানের আপন বোন, কুমিল্লা রেইসকোর্স সাবেক প্রিন্স প্যালেস ও ধানমন্ডি ৯/আ কুইন্স পার্ক নিবাসী ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আহমেদ বিন হাজী ওয়ারিশ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা মিসেস লূৎফা রহমান আর নেই। তিনি ঢাকা কাস্টমস কমিশনার মরহুম লূৎফর রহমানের সহধর্মিণী। (ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৭০ বছর। তিনি তিন পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। বড় পুত্র তৌফিকুর রহমান মুক্তি জাতিসংঘের কর্মকর্তা, দ্বিতীয় পুত্র তৌহিদুর রহমান মুন হংকংয়ের ব্যবসায়ী, তৃতীয় পুত্র তাহসিনুর রহমান রাজ কানাডায় চাকুরীরত এবং একমাত্র কন্যা ড. সুরভি কানাডায় বসবাসরত। মায়ের শেষ বিদায়ে সবাই দেশে এসেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের বাকশাল ও রক্ষীবাহিনীর ফ্যাসিবাদি শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের অন্যতম অধিনায়ক কর্নেল শাহরিয়ার রশিদ খানের আপন বড় বোন মিসেস লূৎফা রহমান ঢাকায় হাসপাতালে দীর্ঘ তিন মাস লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মরহুমার প্রথম জানাযার নামাজ ঢাকা ধানমন্ডি রাইফেলস জামে মসজিদে, দ্বিতীয় জানাযার নামাজ ঢাকা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এবং তৃতীয় জানাযা বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিনগ্রাম ভূঁইয়া বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়। যোহর বাদ দক্ষিনগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, মরহুমা মিসেস লূৎফা রহমান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কান্দারের বেয়াইন এবং কুমিল্লা জেলা বিএনপির সভাপতি হাজী আমিন-উর রশিদ ইয়াসিন সাহেবের মামী শাশুড়ি ছিলেন। এছাড়া, তিনি সাংবাদিক হাজী ফয়সাল আহমেদ রাফির জেঠি ছিলেন। আগামী বুধবার ঢাকায় মরহুমার বাড়িতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন পরিবারের লোকজন।