কুমিল্লার নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকার ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে প্রাণ হারানো ইমরান হোসেন (২১) সোমবার সকাল ১১টায় জানাজা শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন।
গত রোববার রাতে হাসপাতালে মৃত্যুর পর স্বজনরা অভিযোগ করেন যে, সামান্য অপারেশনের কথা বলে চিকিৎসকরা ইমরানকে সাত ঘণ্টা অপারেশন থিয়েটারে রেখেছিলেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসার নামে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হয় বলে দাবি করেন স্বজনেরা।
ইমরানের চাচা জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “তিন দিন ধরে রোগীকে দেখতে দেওয়া হয়নি। পরে আইসিইউতে ঢুকে দেখি রোগী মারা গেছে। অথচ এরপরেও তারা মৃত রোগীর জন্য পরীক্ষা ফি এবং ওষুধ কেনাতে বাধ্য করেছে। আমরা এই গাফিলতির বিচার চাই।”
হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. আবদুল হক দাবি করেন যে, তিনি অপারেশন করেননি, চিকিৎসক আতাউর রহমান এটি পরিচালনা করেছেন। রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিলেও অভিযুক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
এদিকে, নিহত ইমরানের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তার স্বজনরা হাসপাতালের ভাঙচুর করে। উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিঃস্ব পরিবারের স্বজনেরা ইমরানের মৃত্যুর জন্য বিচার দাবি করছেন এবং চিকিৎসা খাতে এমন গাফিলতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।