কুমিল্লার দেবিদ্বারে হামলা, হয়রানি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ বাজারে কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই মানববন্ধন করে। এতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোজাম্মেল হক হুমায়ুনসহ সাবেক ইউপি সদস্যসহ ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের লোকজন অংশ নেয়।
মানববন্ধনে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোজাম্মেল হক হুমায়ুন বলেন, বেতরা গ্রামের বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী সালাউদ্দিনের নির্দেশে চুলাশ, উখারি, রাজামেহারসহ কয়েকটি গ্রামে কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে।
ওই গ্রামগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাং সদস্যরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা গত ৪ঠা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দেশীয় রামদা, হকিস্টিক, দা’ ছেনি নিয়ে চুলাশ গ্রামের গণমাধ্যম কর্মী বিল্লাল হোসেনে বাড়িতে হামলা চালায়, বাড়িতে তাকে না পেয়ে তার নিরোপরাধ ভাইকে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে সালাহউদ্দিন বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে ১০/১২ জনের কুমিল্লা আদালতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনায় আমাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে, অথচ আমি ওইদিন নারায়ণগঞ্জে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলাম। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালাও-পোড়াও, জমি দখলসহ সরকার বিরোধীসহ ৮/১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ এ সন্ত্রাসী বাহিনী থেকে বাঁচতে চাই।
হামলার শিকার আহত জালাল ও বিল্লাল হোসেন বলেন, তারা এসেই এক মুহূর্তে বাড়িঘর তছনছ করে ফেলে। আমার মাথায় ও হাতে কুপিয়ে মাংস আলাদা করে ফেলে।
তারা প্রতিদিন বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হুমকি-ধমকি দেয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালাহউদ্দিন বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যানকে সমর্থন করায় আমার প্রতি তাদের একটি ক্ষোভ।
ঘটনার দিন আমি আমার কর্মস্থলে ছিলাম। আমার হাজিরা খাতা ও কর্মস্থলে গেলে তা প্রমাণ পাবেন। মারামারি হয়েছে চুলাশ ও উখারী গ্রামের মধ্যে, যা আমি বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। আমার বিরুদ্ধে এভাবে মানববন্ধন করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম কালু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ কয়েকটি গ্রামের নারী-পুরুষ।