কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড হেসাখাল পদুয়ারপাড় (শান্তিনগর) গ্রামের স্থানীয় কৃষক আব্দুল হাকিমের মেয়ে হেসাখাল বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে একই গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে খোকন (১৯) বিরুদ্ধে রাত প্রায় সাড়ে ১১টার সময় ধর্ষিতার বসত ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও আদালতে মামলা সূত্রে জানা যায় গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১ টার সময় ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা লম্পট খোকন দরজা খোলা পেয়ে সুযোগ বুঝে
গোপনে ধর্ষিতার ঘরে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে। অতঃপর ধর্ষিতা প্রকৃতির ডাক সম্পন্ন করে ঘরে প্রবেশ করে তার বিছানায় শুয়ে পড়ার সাথে সাথেই ধর্ষক লম্পট খোকন তোয়ালে দিয়ে তার মুখ ছেপে ধরে বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং জোরপূর্বক ধর্ষন করে। মেয়েটি আত্মরক্ষার জন্য তার হাত ও পা দিয়ে লাথি মারতে থাকে এবং তার শোর চিৎকার শুনে ঘরের পাশ দিয়ে চলাচলের রাস্তার লোকজন টের পায়। প্রতিবেশী আনিছসহ ৩/৪ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মেয়ের শোর চিৎকার শুনে তাদের ঘরের লোকদের ডেকে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। তাদের ডাক শুনে ধর্ষিতার বোন ও ভাবি জেগে দেখে ধর্ষক খোকন মেয়ের খাটের উপর বসা এবং ধর্ষিতা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে রয়েছে।
আনিছসহ ৪/৫ প্রতিবেশী এবং পরিবারের সদস্যরা লম্পট খোকনকে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে ধর্ষক খোকন মরিচা পড়া পুরানো টিনের বেড়ায় লাথি মেরে ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।
এরপর ধর্ষিতার অভিভাবকগণ ছেলের বাবা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবগত করেন। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আইনের আশ্রয় নিতে বললে তারা থানায় অভিযোগ দিতে যায়। নাঙ্গলকোট থানা অভিযোগ গ্রহণ না করায় ধর্ষিতার বোন মরিয়ম কুমিল্লা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে।
ধর্ষক খোকনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ফিরে আসার সময় খোকনের বোন শারমিনের সাথে সাংবাদিকদের কথা হয়। এ বিষয়ে তার বোন জানায়, এসব বিষয়ে সবকিছু মনির মেম্বার জানে। উনার থেকে আপনারা সব কিছু জানতে পারবেন।
স্থানীয় মেম্বার মনির কে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আপনাদের এসব ছোটখাটো বিষয় মাথা ঘামানোর দরকার কি। আপনাদের কি আর কোন কাজ নেই। খোকনকে তারা আটক করে রাখতে পারে নাই। আপনাদের কাছে কি কোন প্রমাণ আছ! আপনারা যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন কোন সমস্যা নেই।