কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পশ্চিম দামারপাড়া গ্রামের কেরানী বাড়ীর বাহার ভূইয়া ও তার ছেলে সাহাব উদ্দিন এবং গিয়াস উদ্দিনের মামলা-হামলাসহ নানা অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়েও উল্টো হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের বাহার ভূইয়া ও তার ছেলে সাহাব উদ্দিন এবং গিয়াস উদ্দিনের সাথে জায়গা নিয়ে একই বাড়ীর জাকির হোসেনের ছেলে এনাম হোসেনদের বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত ৪ এপ্রিল বিকালে এনাম হোসেনের পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশে বসলেও হামলাকারী বাহার ভূইয়া গং সালিশ না মেনে উঠে যায়। তখন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে চৌদ্দগ্রাম থানায় ৭ এপ্রিল হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী এনাম। এরপর ১১ এপ্রিল আবার সালিশে বসার কথা থাকায় তাতে অংশ নেওয়ার জন্য চৌদ্দগ্রাম থানা ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মহাসড়কের পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এনাম হোসেনকে মারধর করে প্রাণ নাশ ও লাশ-গুম করার হুমকি দিয়ে চলে যায় বাহার গংরা। এ ঘটনায় ওইদিন তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন এনাম। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে থানায় নন এফআইআর মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে শুক্রবার ভোরে তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করে।
স্থানীয় করিম উল্ল্যহ জানান, বাহার ভূইয়া ও তার ছেলে সাহাব উদ্দিন এবং গিয়াস উদ্দিনের অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদ করতে কেউ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়না। ক্ষমতা ও অর্থের দাপটে তারা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকেও অমান্য করে আসছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান এলাকাবাসী।