কুমিল্লা’র দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউপির নোয়াগাঁও দক্ষিণ পাড়ার মৃত- ইব্রাহিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩০) নামক একজন দিনমজুর কৃষি জমিতে ধানের চারা রোপনের সময় বজ্রপাতে মৃত্যুের খবর পাওয়া গেছে।
২৩ মে (মঙ্গলবার) নোয়াগাঁও স্থানীয় একটি কৃষি জমিতে ৫ জন শ্রমিক ধানের চারা রোপণ করা কালীন আনুমান দূপুর ২:২০ মিনিটের সময় বজ্রপাতের ঘটনায় মারা যায় এবং সাথে কাজ করার সময় বজ্রপাতের বিকট শব্দে ও আঘাতে আবুল খায়ের নামক আরেক জন শ্রমিক আহত হয়। সাইফুল ইসলামের মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। তার স্ত্রী ও সন্তানদের চিৎকার ও আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে জানা যায়, বজ্রপাতের ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তি সাইফুল ইসলাম পেশায় একজন দিন মজুর। সে অন্যান্য দিনের মতো আজকে ও অন্যের কৃষি জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে দুপুরবেলা বজ্রপাতের আঘাতে মারা যায়। তার পরিবারে স্ত্রীসহ ২ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। মেয়েটা সন্তানের মধ্যে বড় নাম মোসাঃ ফারিয়া আক্তার সে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এবং মেজো ছেলে মোঃ সজিব সে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আরেকজন ছোট অবুঝ শিশু।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ায় আমার তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে আমি কিভাবে দিনযাপন করবো৷ সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ কোথা থেকে আসবে। আয় রোজগার করার মতো আর কেউ নেই।
পরে, সন্ধ্যা ৬টার সময় তাদের পারিবারিক কবরস্থানে সাইফুল ইসলামের লাশ দাফন করা হয়।
অন্য দিকে, চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর ইউপির বুড়িমুড়া গ্রামের মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে এবং নবাবপুর আন্তর্জাতিক তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাএ মোঃ রিফাত হোসাইন (১৩) মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বুড়িমুড়া গ্রামে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুের সংবাদ পাওয়া গেছে। পরে তাকে নবাবপুর টাওয়ার হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।