খুদে পিকেটার থেকে বর্তমান কুমিল্লা উত্তর জেলা রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে! আছে তার স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের উপরে কেন্দ্রীয়ভাবে পুরস্কার ও স্বীকৃতি, বহুবছর দলীয় কোন পদ পদবী না থাকা সত্ত্বেও হাল ছাড়েনি, করেছে বিশাল এক কর্মী বাহিনী , ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হামলা-মামলা অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকা এবং রাজপথে মিছিল-মিটিং স্লোগান সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকায় সেই পিকেটার এখন কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক! শুধু রাজনীতিতে নয় রাজনীতির পাশাপাশি ধর্মীয় মসজিদ মাদ্রাসা নানা ধরনের কল্যাণমূলক সংগঠনের কাজে অগ্রণী ভূমিকায় প্রায় সারাবছরই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় এই কুমিল্লা উত্তর জেলা ১০১স্বেচ্ছাসেবী টিমের সমন্বয়ককে, মহামারী করুণায় তার ভূমিকা ছিল বিশ্বে বিরল! বিশ্ব মন্দা এবং বাংলাদেশের করুণার অবস্থা যখন ভয়াবহ তখন কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর পশ্চিমপাড়া এবং পার্শ্ববর্তী ইন্দ্রারচর পূর্বপাড়া দুই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে ধর্মীয় মুসল্লিদের কথা চিন্তা করে পরিকল্পনা এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করেন প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি দর্শনীয় আল্লাহর ঘর মসজিদ। এই মসজিদের কয়েকজন মুসল্লি বলেন মেঘ বৃষ্টি রাত বিরাতে দূর-দূরান্ত থেকে মসজিদে যেতে অনেক কষ্ট হতো বয়স্ক মুসুল্লীদের! তাই বাড়ির কাছে এমন সুন্দর মসজিদে নামাজ আদায় করতে পেরে অনেক খুশি তারা। কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ১০১ টিমের সমন্বয়ক কে মসজিদ মুসল্লিদের দাবির প্রেক্ষিতে কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, মসজিদের সভাপতি মোঃ লিটন সরকার জানান আমি প্রায় সময় দেখতাম এই দুই গ্রামের মুসুল্লিরা নামাজ পড়তে দূর দূরান্ত থেকে মসজিদে যেতে অনেক কষ্ট হত তাই দেখে আমার মনে জাগ্রত হয় যে আমি যদি চেষ্টা করি তাহলে হয়তো এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করা সম্ভব এবং আল্লাহর রহমতে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতে যদি আরো জায়গা ক্রয় করা যায় তাহলে মাদ্রাসা এবং এই মসজিদটি এলাকার সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মসজিদে মুসুল্লিদের ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এবং তিনি আরো বলেন এ মসজিদ-মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠায় আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে চিরকাল।