”হারপিক শেম্পু নয় দালাল ও নয় সাংবাদিক” পুলিশের কিছু ‘সোর্স’ থাকে পাবলিক তাদের ‘সোর্স’ না বলে কখনো কখনো দালালও বলে। এ রকম লোক সব অফিসেই দেখা যায় আজ কাল তাদের অনেকে আবার সাংবাদিক পরিচয়ও প্রধান করে। এতে করে জনমনে বিভ্রান্তি বাড়ে। যেমন বিভ্রান্তি বাড়ে টয়লেট ক্লিনার হারপিককে শেম্পু মনে করলে।
হারপিক কিন্তু শেম্পু নয়। কিন্তু অনেকেই হারপিককে শেম্পু ভাবে-যদি সে আবুলের মতো মানুষ হয়। গ্রাম থেকে শহরে কাজের ছেলে হয়ে এসেছিল আবুল। কিন্তু সে শেম্পু চিনতো না। বাথরুমে ঢুকে টয়লেট ক্লিনার হারপিককে শেম্পু মনে করে মাথায় মেখে মহা বিপদে পরেছিল। সত্যিই অনেকে যেমন হারপিক আর শেম্পুর মধ্যে পার্থক্য বুজে না-মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারের মধ্যে পার্থক্য বুঝে না-তেমনি সাংবাদিক এবং দালালের মধ্যেও পার্থক্য বুঝে না। সাংবাদিক-সাংবাদিকই এবং দালাল-দালালই।
দালালকে সাংবাদিক বলা যাবে না-সাংবাদিককেও দালাল বলা যাবে না । প্রকৃত সাংবাদিক সারাদেশে-সারাবিশ্বে এখনও খুবই ঝুঁকিতে আছেন-অবহেলায় আছেন-কিন্ত দালালরা আছেন ভালো। দালালরা সাংবাদিকদের ব্যবহার করে সুবিধা নেন। অবহেলিত থাকেন যুগে-যুগেই প্রকৃত সাংবাদিকগন। এ দুঃখ কে করবে দূর?