কুমিল্লা সিটি মেয়র পদে নির্বাচনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমার প্রত্যাশা হলো-কার সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করছি কি করছি-না সেটা বিষয় না। আমি বিশ্বাস রাখি আল্লাহর উপরে এবং ভরসা রাখি কুমিল্লার মানুষের উপরে। আমার বাবা কুমিল্লার মানুষের জন্য ভালো কাজ করেছেন। উনার পদচারণা অনুসরণ করে আমিও অনেক ভালো কাজ করেছি। আমি আমার কাজের উপর বিশ্নাসী। সিটি নিয়ে পরিকল্পনা কি এমন প্রশ্নের জবাবে তাহসিন বাহার বলেন, পরিকল্পনা হচ্ছে- পরিকল্পিত সুন্দর নগরীর। যে স্বপ্নটা আমরা সবাই দেখি। বিশেষ করে আমাদেরও যারা তরুন আছে তাদের সাথে আমি যখন কাজ করি- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের দেখাচ্ছেন স্মার্ট বাংলাদেশের, এমন একটি স্মার্ট কুমিল্লাই আমি গড়তে চাই। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার এই নগরীকে পরিবর্তন করার। দুর্নীতির কারণে এই সিটি কর্পোরেশন দুর্দশ্রাগস্থ। আমার চ্যালেঞ্জ হবে সততার কাজে সুন্দর নগরী গড়ে তোলা।তাহসিন বাহার বলেন, আমি নগর কন্যা হতে চাই। কারণ আমি কুমিল্লার মেয়ে। যেভাবে বৃদ্ধ হয়ে গেলে বাবা-মাকে সন্তানরা আগলে রাখে দায়িত্ব ন্য়ে, এই নগরীও তো অনেক প্রাচীন- একই সাথে আমি তরুনদের সাথে কাজ করি। সেজন্য আমি নিজেকে নগর কন্যাই বলি। নগরের কন্যা হয়েই এই শহরের জন্য কাজ করতে চাই।মহনগর আওয়ামী লীগের আরো একজন প্রার্থী আছে- এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তাহসিন বাহার বলেন,মহানগর আওয়ামী লীগের সমর্থিত ও প্রস্তাবিত প্রার্থী আমি। ইলেকশন ফ্রি- যে কারণে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সমর্থিত প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনা। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতার কেমন প্রতিদ্বন্দি মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হলে প্রতিদ্বন্দিতা থাকতে হবে। তাহসিন বাহার বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থীর রাজনৈতিক অবস্থা এবং ব্যক্তিগত অবস্থা দু’টোই ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাবে। কারণ দল আমাকে সমর্থন করেছে- দলের সভায় সবাই আমার নাম প্রস্তাব করেছে এবং আমাকেই সমর্থন করেছে। এছাড়া আমি কুমিল্লার অনেক সামাজিক সংগঠনের সাথে-পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও কাজ করছি। তাই আমি বলবো- আমাকে ব্যক্তি হিসেবেও মূল্যায়ন করা হবে। আমি সবার সহযোগিতা কামনা করি, আমি বিশ্নাস করি কুমিল্লা মানুষ আমার পাশে থাকবে।