কুমিল্লা নগরীর ফুটপাতে এবং রাস্তার উপর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বসা অস্থায়ী দোকানগুলো এখন মাদকাসক্ত ও বখাটে যুবকদের নিয়ন্ত্রণে। এই দোকানগুলো নগরীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যানজটের এক অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব দোকানের কারণে তাদের ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
খন্দকার হক টাওয়ার, ছাত্তার খান কমপ্লেক্স, আনন্দ সিটির ব্যবসায়ীরা জানান, তারা কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে হিমসিম খাচ্ছেন। তারা আরও জানান, এসব অস্থায়ী দোকানের কারণে ক্রেতারা মার্কেটে আসছেন না। এই অবস্থা চলতে থাকলে তারা দোকান মালিক সমিতির নিকট উচ্ছেদের জন্য আবেদন করবেন।
এছাড়াও, গতকাল এক ভয়াবহ ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রী ও তার মা এবং ছোট বোন এক অস্থায়ী দোকানের কর্মচারীদের দ্বারা মিথ্যা চুরির অভিযোগে লাঞ্ছিত হন। পরিবারটি জানায়, তাদের বিনা অপরাধে অভিযুক্ত করা হয় এবং পুলিশের আন্তরিকতা ও ন্যায় বিচারের কারণে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
এই ঘটনাগুলো নগরীর সামাজিক অবক্ষয় এবং অসঙ্গতির এক চিত্র তুলে ধরে। নগরীর ফুটপাত ও রাস্তার উপরের এসব অস্থায়ী দোকান এবং তাদের অবাধ বিস্তার নগরীর সৌন্দর্য এবং শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। এই অবস্থা দ্রুত সংশোধনের জন্য সকলের সচেতনতা এবং প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ অপরিহার্য।