কুমিল্লা মহানগরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে সংঘর্ষের জেরে মহানগর যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার মাসুদুল ইসলাম বাবুর উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল, বুধবার দায়ের করা মামলায় কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টুসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৯জনকে আসামি করা হয়েছে।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগে মো. মাসুদুল ইসলাম নিজে বাদি হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন। তিনি বলেন, “আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি এবং আইনি ব্যবস্থা চলমান।”
গত ১ এপ্রিল, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে থেকে ধরে নিয়ে মাসুদুল ইসলাম বাবুর উপর হামলা ও ব্যাপক মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত বাবু জানান, তিনি জেলা শিক্ষা অফিসের একটি বিলের কাজের বিষয়ে সেখানে গিয়েছিলেন এবং হামলার শিকার হন।
আহত বাবু আরও বলেন, “আমি নির্বাহী প্রকৌশলী রুমে ঢুকে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু সবাই মিলে স্যারের সামনেই আমাকে ব্যাপক মারধর করে।” তিনি যে হামলার শিকার হয়েছেন সেই ব্যক্তিরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে টেন্ডারবাজি করতো বলে জানান।
এই ঘটনায় আহত বাবুর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তার অনুসারীরা জানিয়েছেন যে, তারা এই হামলার বিচার চান এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন। এই ঘটনা কুমিল্লা মহানগরের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু বলেন, বাবু পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে এসে ছোট ছেলেদের সাথে গন্ডগোল করে। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে উক্ত মামলায় আমার নাম জড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরে শুনেছি।